প্রতিনিধি ৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ১২:৩২:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
মু. বাবুল হোসেন বাবলা: দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর পর এখনো আলোকিত মানুষের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছে একটি সম্প্রদায়!বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, পরিবেশবাদী সংগঠক তার প্রতিষ্ঠিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী থেকে সারা দেশে প্রচার করা বেড়াচ্ছে আলোকিত মানুষ চাই। কেমন জানি মনে হচ্ছে ওনার শ্লোগানটি সত্যিই তো, সোনার বাংলায় সোনার মানুষ এখনও পাওয়া যায়নি..
বিগত বছরের জুলাই -আগস্টে তীব্র আন্দোলন ও বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক সরকারের পতনের পর এই প্রজন্মের কাছে বিশাল এক প্রশ্নের সঠিক জবাব কেউ দিতে পারবে কিনা? ৫৩ বছর পর এ জাতি আজ আলোকিত ও সাদা মনের মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না।
রাজনৈতিক দল গুলো সর্বক্ষেত্রে এতো অতিমাত্রায় দলীয় করণ ও আত্মীয় করণে জড়িয়ে গেছেন যে,তারা এখন দলের হাল ধরার জন্য আলোকিত ও সাহসী মানুষ খুঁজের কাজে।
যিনি এতোকাল যাবত আলোকিত ছিলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও লুটপাটের কারণে আজ চরম ভাবে নিন্দিত ও ঘৃণিত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন।
কথা হচ্ছে, পিতা হচ্ছে সব সন্তানদের জন্য সর্গতুল্য কিন্তু সেই পিতা কে কোন এক সন্তান যদি অতি মাত্রায় নিজের গোষ্ঠীর বা একক সত্তা বানিয়ে পূজার আসনে বসান তাহলে তিনি অন্য গোষ্ঠী বা সন্তানের জন্য অপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিপ্লবে দেশের চিত্র বদলে বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চা বেশি বেশি প্রচার ও প্রসার ঘটলে সেই দেশে আলোকিত মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
আর সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও দক্ষ- অভিক্ষ সুষ্ঠু ধারার গণ মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে পিছিয়ে দিয়ে আলোকময় দেশ গঠন স্বপ্নে সোনার ডিম পাড়া হাঁস মুরগির গল্প ছাড়া আর কিছু নয়।
শিক্ষায় সর্বোচ্চ গলদ রেখে সৎ ও সাদা মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া ঐ ব্রামন্ড ও ব্রামন্ডির দেশে সব কিছু ১০ টাকায় খাবারের দোকান ভাবা ছাড়া আর কি…?
দীর্ঘ ৫৩ বছরের একটি স্বাধীন দেশ আর কিছু পাক বা পাক কিছু লুটেরা দূর্নীতিবাজ, ব্যাংক ডাকাত ও ঘুষখোর স্যার বা সাহেব পেয়েছে। যারা এদেশের মানুষকে ঋনি বানিয়ে নিজেরা গড়েছেন অঢেল সম্পদ,বৈদেশিক বেগম পাড়ায় স্বর্ণ কমল বাড়ি এবং অনৈতিক কাজের অসৎ সঙ্গী- সাথী..!
তাই,পাঠক- লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিনীত আরজ,নিজ দেশ,দেশের গণমানুষ, দেশীয় পণ্য, ক্রীড়া শিক্ষা- সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখলেই হয়তো বা আলোকিত মানুষ গড়া সম্ভব।
লেখক: মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবলা, সিনিয়র সাংবাদিক ও ক্রীড়া সংগঠক, চট্টগ্রাম।