• মহানগর

    চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরু

      প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ১১:০৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু.হোসেন বাবলা:: নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে।
    এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম পরিবর্তন করে শহীদ ওয়াসিম উদ্দিনের নামে করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ হন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম উদ্দিন।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।

    এর আগে চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নামফলক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    নতুন নামকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শাহাদাতবরণ করেছিলেন যিনি, সেই ওয়াসিম আকরামের নামে এই উড়াল সেতু। আমরা সারাদেশে যারা এই জুলাই অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি, যেন সারাদেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পারে। এই লক্ষ্যেই আজ আসা। চট্টগ্রামের মানুষ যে সংগ্রামে শামিল হয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের যেন পরবর্তী প্রজন্ম সবসময় স্মরণ করতে পারে সেজন্য আমরা আমাদের উদ্যোগ চালিয়ে যাব।

    এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি এবং সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর ১০টা ২০মিনিটে প্রথম মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তাঁর গাড়ির টোল প্রদান করেন। বর্তমানে উড়ালসড়কটির পতেঙ্গা প্রান্তে ৪টি বুথের মাধ্যমের দুদিকের টোল আদাল করা হবে। পরবর্তীতে লালখান বাজারসহ ১০টি পয়েন্টে র‍্যাম্প স্থাপনের পর সেখানেও টোল আদায় করা হবে।

    সিডিএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটর সাইকেল ও ট্রেইলার ব্যতীত মোট ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে প্রাইভেট কারকে ৮০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, চার চাকার ট্রাক ২০০ টাকা, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা, কভার্ড ভ্যানকে চলাচলের জন্য ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মূল শহর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, শহরের যানজট কমিয়ে আনার পাশাপাশি যাত্রাপথের দূরত্ব কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ।

    ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তবে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথমে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়।

    এরপর বিভিন্ন সময় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে সবশেষ সিডিএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের সময় আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। এছাড়া সিডিএ ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।

     

    আরও খবর 25

    Sponsered content