প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২৪ , ৫:৪২:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: তলবি সভা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) কার্যনির্বাহী কমিটি হিসেবে সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৪ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতি ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলকে সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক তলবি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরে (২০২৪-২৫ সেশন) ১৪ পদে গত ৬ ও ৭ মার্চ আইনজীবী সমিতির ভোট গ্রহণ হয়। ৭ মার্চ ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা কখন হবে, তা নিয়ে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
তবে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল জালভোট-কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর মামলা ও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ৯ মার্চ বিকেলে ভোট গণনা শুরু হয়। সেদিন দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ওই ফলাফলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৪ পদের মধ্যে সভাপতি ও সদস্যের তিন পদসহ চারটি পদে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন। অন্যদিকে সহসভাপতির দুটি পদ; সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সহসম্পাদকের দুটি পদসহ সদস্যের চারটিসহ ১০ পদে জয় পান সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা।
নিয়ম অনুসারে বিজয়ীরা দায়িত্ব গ্রহণ করে সমিতি পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এমন পরিস্থিতি ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে একতরফা ভোট গণনা শেষে সঠিক ফলাফল ঘোষণা না করায় সঠিক ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে তলবি সাধারণ সভা আহবান করে সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীবৃন্দ।
ওই সভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সমিতির সাবেক সহসভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী। তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, নির্বাচনে ব্যাপক জাল-জালিয়াতি কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়, গ্রেপ্তারের আতঙ্ক দেখিয়ে প্রার্থীদের কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখা, ভোট গণনার নাটক সাজিয়ে সব প্রার্থীর নিরপেক্ষ নির্বাচন উপকমিটির অনুপস্থিতিতে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাই পূর্বে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হলো।
অন্তর্বর্তী কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সহসভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম, সহসম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান ও মো. আবদুল করিম। সাতজন সদস্য হলেন সৈয়দ ফজলে এলাহি, এ বি এম ইব্রাহিম খলিল, ফাতেমা আক্তার, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহি উদ্দিন মো. হানিফ ও রাসেল আহমেদ। তারা সবাই জাতীয়বাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের।