প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২৪ , ৪:০৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৫ বছর জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন।
সাহসী ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। হাজারো শহীদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় দেখেছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ এই বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার জন্য আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করছে।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর কদমতলী শুভপুর বাস স্টেশন চত্বরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশ নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকল সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায়বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের শক্তভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয় যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে না যায় কেউ। তাই বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ছাত্র জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় গুলোতে হামলার গুজব ছড়াচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তারা উপাসনালয় গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপিকে দায়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই সকল সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন জিয়া, মো, আলী, সাইফুর রহমান শপথ, থানা বিএনপির সহ সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, মো. ইলিয়াস, ইব্রাহিম মান্নান মিনু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম, লোকমান হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াছ রাশেদ, মাহবুব আলম, মো. শাহাজাহান, সাংগঠনিক আব্দুল আজিজ, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইসমাইল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নুর খান, সদস্য সচিব মো. রাশেদ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, সদস্য সচিব আনোয়ারুল আবেদীন মুন্না, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউনুস মিয়া জুয়েল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ আলী ও কৃষকদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন সাব্বির প্রমুখ।