• জাতীয়

    আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে: নানক

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৪ , ১০:৫২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: সরকার পতনের একদফা দাবি ক্ষমতা লিপসু বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

    সব হত্যা-সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে বলেও জানান তিনি।রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এ কথা জানান।




    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সব হত্যা, সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই, দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবেন না, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করবেন না। সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আন্দোলনের নামে যারা সহিংসতা করেছে, তারা শিক্ষার্থী নয়, বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির ও জঙ্গি গোষ্ঠীর ক্যাডার বাহিনী।

    নানক বলেন, আমরা অভিভাবকদের আহ্বান জানাই- এ সন্ত্রাসীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের সন্তানদের ঘরে রাখুন। যারা রাস্তায় আছে, তাদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করছি। ছাত্র সমাজের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী গণভবনের দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। সরকার তাদের বক্তব্য শোনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ছাত্র সমাজের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র দেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-আপামর জনগণ মেনে নেবে না।

    পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শেষ কথা বলতে চাই, আমরা এ দেশ মাতৃকাকে ভালোবেসে ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। এ জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।




    তিনি বলেন, কোটা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেন তাতে ছাত্র সমাজের যে দাবি ছিল, তার চেয়েও বেশি পূরণ হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হওয়ার পরও বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা দেখেছেন, আজ সকালে এ সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও রেহাই দেয়নি। তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। হাসপাতালে মানবতাবিরোধী এ হামলা থেকেই প্রমাণিত হয় তারা শিক্ষার্থী নয়। আজ যারা সহিংসতা করেছে তারা শিক্ষার্থী না।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।




    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content