• মহানগর

    চলতি মাসেই গাড়ি চলবে কালুরঘাট সেতুতে

      প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১০:১১:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই যানচলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কালুরঘাট সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

    যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে সেতুটি। সংস্কার কাজও প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।




    জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর কাজ প্রায় শেষ। চলতি মাসেই যানচলাচল চলাচলের জন্য এ সেতু উম্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

    গত বছরের ১ আগস্ট কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে অবশেষে এ সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করেছে তারা। এরআগে সেতুতে যুক্ত হওয়া ওয়াকওয়ে গত ঈদুল আজহার সময় পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলে জনমনে। ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ এড়াতে মানুষজন পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার করছেন। কিন্তু বন্ধ ছিল যানচলাচল। যার কারণে ফেরিতে করে এসব যানবাহন পারাপার হতো। এতে দুর্ভোগ বাড়ে এ অঞ্চলের মানুষের। অবশেষে চলতি মাসেই এ দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে।




    রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, কালুরঘাট সেতুর কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ। আন্দোলন-সহিংসতার কারণে সংস্কার কাজে বিলম্ব হয়েছে। এই মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হবে। তবে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্তের বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

    রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের জন্য জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের পরামর্শে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার কাজে হাত দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার লিমিটেড।




    ১৯৩০ সালে নির্মিত কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুটি এর আগে ১৯৮৬-৮৭ এবং ২০০৪-০৫ সালে দুই দফায় সেতুর সংস্কার হয়। তখন সেতুর ওপরের পাটাতন পরিবর্তন করে নতুন করে রেললাইন বসানো হয়েছিল। ডিসেম্বরে প্রথম ধাপের সংস্কারের পর সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

    আরও খবর 25

    Sponsered content