প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২৪ , ১০:৪৭:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
খেলাধুলা ডেস্ক: ইনিংসের প্রথম বল থেকেই উইকেটে দেখা মিলেছে বাড়তি বাউন্সের। ব্যস, প্রোটিয়া পেসারদের তেঁতে উঠতে আর কী লাগে! বিশেষ করে আনরিখ নরকিয়া ছিলেন তার সেরা ছন্দে।
গতি ও বাউন্সের মিশেলে লঙ্কান ব্যাটারদের নাজেহাল করে ছাড়েন এই ডানহাতি পেসার। তার আগুনে ঝরা বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাতে অবশ্য আফসোসে পুড়েননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। উইকেটের ধরন বুঝে নিয়ে আগে বোলিংই নিতে চেয়েছিলেন তিনি। লঙ্কানরা যে মস্ত বড় ভুল করেছে তার প্রমাণ হাতেনাতেই দিয়ে দেয় প্রোটিয়া বোলাররা।
ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন ওটনিল বার্টম্যান। বিশ্বকাপে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান এই পেসার। থার্ডম্যানে থাকা হাইনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান পাথুম নিশাঙ্কা। লঙ্কান ব্যাটাররা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। থিতু হওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি কাউকে। তাই তো পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র পাঁচটি। দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন কেবল কুশল মেন্ডিস (১৯), কামিন্দু মেন্ডিস (১১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (১৬)। তিনজনই ফেরেন নরকিয়ার শিকার হয়ে। ডানহাতি এই পেসার ৪ ওভারে কেবল ৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৪ ওভারের স্পেলে এর চেয়ে কিপটেমি দেখাতে পারেননি আর কোনো বোলার।
নবম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন কেশভ মহারাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি এই স্পিনার। তার মতো দুই উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদাও। বোলারদের মধ্যে কেবল ইনিংসের সূচনা করতে আসা মার্কো ইয়ানসেনই উইকেট পাননি।
২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ৮৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৮ বছর ধরে এটাই টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল তাদের। সেই রেকর্ড আজ ভাঙল দক্ষিণ আফ্রিকার হাত ধরে।