• উত্তর চট্টগ্রাম

    ভূজপুরে সাবান তৈরি কারখানায় অভিযানে ১ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

      প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৪ , ১১:২৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়ি উপজেলা ভূজপুর থানার হাজী এজাহার মিয়া সন্স এন্ড সোপ ফ্যাক্টরি (রাজা স্পেশাল বল সাবান) ‘র কারখানা ও গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কারখানার মালিক মোঃ আমান উল্লাহ কে জেল ও জরিমানা আদায় করেন।

    শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মেজবাহ উদ্দিন।




    কারখানাটির মালিক মো. আমান উল্লাহ (৩৫)। সে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের কাজিরহাট বাজার এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে।

    জানা গেছে, বিএসটিআই এর লাইসেন্স ব্যতীত পণ্যের মোড়কে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে সাবান প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণের সংবাদ পাওয়া যায়। পরে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, গোয়েন্দা সংস্থার লোক, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ভূজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল হাজী এজাহার মিয়া এন্ড সোপ কারখানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।




    বিএসটিআইয়ের দেয়া তথ্যমতে- এ কোম্পানির লাইসেন্স এর মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হয়েছে। টেস্টে পণ্যটি অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে তাদের প্রত্যাখান পত্র প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে এ পণ্য বাজারজাত করণ নিষিদ্ধ করা হয়।

    প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৮ এর ২৭ ধারায় হাজী এজাহার মিয়া এন্ড সন্স সোপ ফ্যাক্টরি (রাজা স্পেশাল বল সাবান)’র মালিক আমান উল্লাহ কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ী আরো ৭ দিনের জেল প্রদান করেন। ওই জরিমানা টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। পরে কারা পরোয়ানামূলে আসামী মো. আমান উল্লাহ কে ১৫ দিনে জেল দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযানে প্রায় ১কোটি টাকার বেশি জিনিসপত্র জব্দ করে কারখানাটি বন্ধ করা দেওয়া হয়।




    এছাড়া, জব্দকৃত মালামাল আইন ও বিধিমোতাবেক নিষ্পত্তি করার জন্য বিএসটিআই এর চট্টগ্রাম সহকারী পরিচালক কে নির্দেশ প্রদান করেন। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ভূজপুর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ নির্দেশ প্রদান করা হয়।

    এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।




    0Shares

    আরও খবর 27

    Sponsered content