• মহানগর

    ঈদ হোক সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার উৎসব : সিটি মেয়র

      প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২৪ , ১০:৩০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: ঈদ–উল–ফিতরকে সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতির বন্ধন বৃদ্ধির উৎসবে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা আমাদের ধনী–দরিদ্রের ব্যবধান ভুলে সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের শিক্ষা দেয়। শ্রেণীভেদ আর বৈষম্য ভুলে সমাজকে ঢেলে সাজানোর অনুপ্রেরণা যোগায় রমজান মাস। ঐতিহাসিকভাবেই ঈদ–উল–ফিতর ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সব ধর্মের মানুষদের মধ্যে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বৃদ্ধির উৎসব হিসেবে স্বীকৃত।




    তবে উদ্বেগের বিষয় হলো একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিভিন্ন অপকৌশলে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশের সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্টের জন্য নানা অপকৌশল, গুজব আর অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। উস্কে দিচ্ছে জঙ্গিবাদ, তৈরি করছে সামপ্রদায়িক উত্তেজনার পরিবেশ। এমনকি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই উক্তিটিরও অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা। তারা ধর্মীয় ভেদাভেদকে সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বজ্রকঠিন ঐক্যবদ্ধ জাতিকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষাপটে সবার প্রতি আমার আহ্বান, একটি অসামপ্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যাশায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কোন বিচ্যুতি যাতে না আসে।




    ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সকলের জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সকলের উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের সাথে মিলে–মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সকলের উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সকলের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

    সামপ্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসামপ্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সকলে মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি ও ঐক্যের করে পালন করি।