• মহানগর

    আগেই এজেন্টদের থেকে রেজাল্টশীটে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ ফরিদের

      প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ১০:২৩:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: সকাল বেলা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় অধিকাংশ এজেন্ট হতে রেজাল্ট শীটে প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষর নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম ১০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করা আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ।

    শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।




    তিনি বলেন, কয়েকটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রগুলোতে আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। যে সব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিল সেসব কেন্দ্র থেকে কিছু এজেন্টকে সকাল ১০ টায়, কিছু এজেন্টকে ১২ টার পরে বের করে দেওয়া হয়।

    একটি মহল আমার ভোটের পরিমাণ কম দেখানোর জন্য ভিলেজ পলিট্রিক্স করেছেন। তারা ভেবেছেন এতে করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবেন। ভোটের ফলাফলে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ১০-১২ ভোট করে দেখিয়েছেন। ভোটের রেজাল্টশীটে খেয়াল খুশী মতো সংখ্যা বসিয়ে দিয়েছেন। কিছু কিছু রেজাল্ট শীট ছিল এজেন্টদের স্বাক্ষর ছাড়া। আবার কিছু কিছুতে একহাতের লেখায় এজেন্টদের নাম লিখে একই কলমে একজন সবার স্বাক্ষর করে দিয়েছেন।




    ফরিদ মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম ১০ আসনে ২ হাজার ৩৮৫ ভোট বাতিল দেখানো হয়। বাতিল দেখানো ভোটগুলো কোন প্রতীকের ছিল এটা একটা কৌতুহল থেকে গেল! ভোটের দিন সকালে দুই প্রতীকের এজেন্টদের থেকে মোবাইল জব্দ করে নিলেও, একটি প্রতীকের এজেন্টদের মোবাইল জব্দ করা হয়নি। এছাড়াও ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, প্রার্থীর এজেন্ট, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্য কোন মানুষের থাকার কথা না থাকলেও একটি প্রতীকের ব্যাজধারী ৫ থেকে ৬ জন নেতাকর্মী কেন্দ্রের ভেতরে সারাদিন অবস্থান করেছে।




    তিনি আরও বলেন, সাধারণ ভোটারদের সমর্থন ও রায় পাবো এমন একটা আস্থা ছিল আমার। ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন একজন প্রার্থী যে কৌশল অবলম্বন করেছেন, এতে করে সাধারণ ভোটাররা ছিল দ্বিধা ও সংশয়ে। সেদিন নিরাপদে ভোট দিতে পেরেছেন কিনা সেটা তারাই বলতে পারবেন। যারা আমাকে রাজনৈতিকভাবে দূরে রাখতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ করে আমি এই আসনের সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করে যাবো।

    মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদের নির্বাচনী এজেন্ট পলাশ খাস্তগীর, সমর্থনকারী জাকির হোসেন রিপন, নগর যুবলীগ সাবেক নেতা নেছার আহমেদ, শেখ নাছির আহমেদ, আশরাফুল গনি, শওকত হোসেন, ফিরোজ আলম সবুজ, আশরাফুল আলম টিটু, দেলোয়ার হোসেন দেলু, রাশেদ চৌধুরী, নাজমুল হাসান রুমি প্রমুখ।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content