• জাতীয়

    জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১১:৪৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস, ১৬ ডিসেম্বর। দিবসটি উদ্‌যাপনের জন্য এরই মধ্যে স্মৃতিসৌধ চত্বরে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

    ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ চত্বরটি গণপূর্তের কয়েক শ’ কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এক নতুন রূপ পেয়েছে। বাহারী ফুল ও বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। ধুয়ে মুছে চকচকে করা হয়েছে। এরপর রং তুলির আঁচড়ে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা।




    মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত সাত স্তম্ভের স্মৃতিসৌধ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করতে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সবাই।

    কাল রক্তিম সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর লাখো মানুষের ঢল সেখানে। এর পর ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে কংক্রিটের শহীদ বেদি।

    এদিকে, ১৬ ডিসেম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে উচ্চমাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে গোটা স্মৃতিসৌধ এলাকা। চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে।




    স্মৃতিসৌধ এলাকায় কাজ করা শ্রমিকরা জানান, বীর শহীদদের স্মরণে কাজ করাটা আনন্দেরও বিষয়ের। শুধু চাকরি নয়, দায়িত্বেরও বিষয়। তাদের খুবই ভালো লাগে।

    গণপূর্ত বিভাগের (সাভার) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রী, সচিব, কূটনৈতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।




    ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

    নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি। সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।




    প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বলে জানালেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

    সবমিলিয়ে এখন শুধু জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর অপেক্ষা।

    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content