প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৯:৪২:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ।
তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, আমরা সেভাবেই আমরা আমাদের পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী তার কাজটি করছে। অনেক পেশাদার নিরাপত্তা বাহিনী। আপনারা দেখেছেন ২৮ অক্টোবর পুলিশকে পিটিয়ে- পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আনসারকে মারলো, পুলিশকে মারলো, পুলিশ চরম ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, আমরা সেভাবেই আমাদের পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করেছি। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে পুলিশ বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে গিয়ে একটা সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে।
সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তফসিলের পরপরই সারা দেশে লাগাতার হরতাল। সরকার কী করবে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তারা ২০১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, একুশে আগস্ট গ্রেনেড দিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। অনেক কর্মকাণ্ড এখানে হয়েছে। সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণ আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কাজেই তারা নির্বাচনে ভরাডুবি খাবে, নির্বাচনে এদেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সেটা জেনেই তারা এ ধরনের কাজ করছে। মানে জনগণকে জিম্মি করে কখনও পোড়াচ্ছে, কখনো ভাঙচুর করছে, কখনো আমাদের পুলিশ হত্যা করছে, কখনো আবার আনসার হত্যা করছে, কখনও বা প্রধান বিচারপতির বাসায় ঢুকে ভাঙচুর করছে, কখনও হাসপাতলে ভাঙচুর করছে। এসব করছে কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইলেকশন আসলে নিশ্চয়ই তো তারা জিততে পারবে না। সেজন্যই এ ধরনের অবস্থানে তারা যাচ্ছে।
দেশে তো গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাই নেই। সংখ্যায় যদি ১ আর ৯৯ হয় তাহলে কি গৃহযুদ্ধ লাগে? গৃহযুদ্ধ লাগে ৫০-৫০ হলে। গৃহযুদ্ধ লাগার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা যেটা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য দল সবাই মনে করে যে জনগণের মেন্ডেটটাই হলো আসল। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিংবা ভাঙচুরের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেওয়া যায়, একটা ঘটনা ঘটানো যায়, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।