• জাতীয়

    রাজপ্রাসাদেই সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে: জি এম কাদের

      প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৩ , ১০:০৮:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, এখন দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। জনগণের কাছ থেকে রাজনীতি দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    রাজনীতি রাজপ্রাসাদে নেওয়া হয়েছে। কি হবে আর কি না হবে তা রাজপ্রাসাদেই সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সব সিলেকশন সেখানেই হচ্ছে। দেশের মালিক যে জনগণ তা অস্বীকার করছে সরকার। জনগণের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। মানুষ ভোট দিতে গেলে ভোট দিতে পারে না।




    তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটে ফলাফল নির্ধারণ হয় না। একারণেই দেশের মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দেশের মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারছে না আবার সরকারের সমালোচনাও করতে পারছে না।

    সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সহ-সভাপতি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।




    জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, বিভাজন সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী সরকার মানুষকে শোষণ করে। আমরা স্বাধীনতা পেলেও মুক্তি পায়নি। মুক্তির জন্যই এদেশের মানুষ সংগ্রাম করেছিল। সেই মুক্তির সংগ্রামেই স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা একটি রাষ্ট্র পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পায়নি। দেশের মানুষ চেয়েছিল সুশাসন, আইনের শাসন এবং দেশের মালিকানা। স্বপ্ন ছিল মুক্তি পেয়ে দেশের মানুষই ঠিক করবে, কে দেশ চালাবে।




    তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা অধিকার নয়, এটি কর্তব্য। দেশের মানুষ এ কর্তব্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। নিবর্তনমূলক নানা আইন-কানুন দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। নিষ্ঠুর নির্যাতন ও নিবর্তনমূলক আইনের ভয়ে দেশের মানুষ মাঠে নামতে পারে না। মন খুলে তাদের দাবি জানাতে পারে না। একারণে দেশের মানুষ সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত। দেশের মানুষ হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিরাজনীতিকরণের কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। এটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বঞ্চনা, বৈষম্য ও বিভাজন থেকে আমরা যে মুক্তি চেয়েছিলাম তা পায়নি। মুক্তি ও দেশের মালিকানা পেতে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছিল। দেশের মানুষ স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও মুক্তি ও দেশের মালিকানা পায়নি।




    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content