• মহানগর

    জাতীয় ঐক্য-সংহতি রক্ষায় ফটোসাংবাদিকদের ভূমিকা ঐতিহাসিক: মেয়র রেজাউল করিম

      প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৩ , ৯:৩৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: জাতীয় ঐক্য, সংহতি রক্ষায় ফটোসাংবাদিকদের ভূমিকা ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ৩৭তম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।




    মেয়র বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৮২-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলনের জীবন্ত দলিল ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামী প্রেরণা যুগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা। ক্যামেরা শুধু ছবি তুলে না- এতে ভাষাও দেয়, শিল্প সৌন্দর্যও আনে।

    তাই, ফটোসাংবাকিতাকে সাংবাদিকতার একটা নিছক অনুজ অঙ্গ বলে অবহেলা করার অবকাশ নেই। একে গণ্য করতে হবে সংবাদপত্র মাধ্যমের একটি অপরিহার্য শ্রম বিভাগ, শিল্প ও নান্দনিকতার বিষয় হিসেবে।




    তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্রে নানা বিষয় ছবির মাধ্যমে বিবৃত বা মূর্তমান করা হয়ে থাকে। সংবাদপত্রের একটি ছবি একজন পাঠককে যত দ্রুত আকর্ষণ করতে পারে এবং পাঠকের অন্তরে যত দ্রুত রেখাপাত করে লেখা সেটা পারে না। লেখাতে ঘটনার বর্ণনায় রং থাকতে পারে, দলীয় অথবা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সত্য মিথ্যার বর্ণনা থাকতে পারে কিন্তু ছবি যা প্রকৃত ঘটনা তাই থাকবে। প্রতিদিন আমাদের সংবাদপত্রে অনেক ছবি ছাপা হয়, তার বিরুদ্ধে রিজয়েন্ডার বা প্রতিবাদ আসে না বলা যায়। এমনকি সারাবছর একটি সংবাদপত্রে যত সংবাদ চিত্র ছাপা হয় তার জন্য একটি প্রতিবাদ পত্রও পায় না, তবে মাঝে মধ্যে ভুল ক্যাপশনের কারণে সেটা ঘটলেও ঘটতে পারে মাত্র। রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে ১৯৬৩ সাল থেকে আমি মাঠে ময়দানে আছি তাই ফটোসাংবাদিকদের কাজ ও ঝুঁকি সম্পর্কেও আমি অবগত।




    এ সময় মেয়র হিসাবে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যেকোনো কর্মকান্ড এবং সমস্যার সমাধানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    মেয়র আরো বলেন, একজন প্রেস ফটোগ্রাফারকে যথেষ্ট সচেতন থেকে তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। সর্বদাই তার সময়ের সাথে যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবাদে ঘটনাস্থল থেকে ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে দ্রুত সময়ে পর্যাপ্ত ছবি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।

    সিপিজেএর সভাপতি রাশেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী।




    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিপিজেএ উপদেষ্টা আলহাজ আলী আব্বাস, বিএফইউজেএ’র সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দীর বাচ্চু, সিপিজেএ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটোসাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবু, কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ফুলকলি গ্রুপ এন্ড ইন্ডাস্ট্রির জেনারেল ম্যনেজার এম এ সবুর।




    প্রদর্শনী সম্পাদক সরওয়ারুল আলম সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি সুভাষ কারণ, যুগ্ম সম্পাদক নিপুল কুমার দে, অর্থ সম্পাদক আলাউদ্দীন হোসেন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রবি শংকর চক্রবর্তী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রনী দে, কার্যনির্বাহী সদস্য অনুপম বড়ুয়া, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও সিপিজিএ উপদেষ্টা আসিফ সিরাজ, শিশির বড়ুয়া, মোহাম্মদ ফারুক, সদস্য কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম মুন্না, রাজিব রায়হান, জুয়েল শীল, রবিন চৌধুরী, শ্যামল নন্দী, সুরঞ্জিত শীলসহ অতিথিরা।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content