প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৩ , ৮:২৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীতে পানি বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫মিটার) বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত কয়েক দিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাত থেকে আরও বাড়তে থাকে নদীর পানি প্রবাহ। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সকল জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টা ৭ সেন্টিমিটার কমে যায় পানি প্রবাহ। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে।
নদীপাড়ের মানুষরা জানায়, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের আবাদকৃত ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
মহিষখোচা এলাকার মানজেদুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত রাস্তা ঘাট ও পুকুর। ঈদের আনন্দ মলিন হয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষদের।
ভোটমারীর শৌলমারী চরের কফিল উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতংকে থাকতে হয়। তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। চার দিকে শুধু পানি আর পানি। বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে বিপদ সীমার খুব কাছাকাছি এলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে আবারও কমেছে। দুপুরের পর থেকে বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।