• জাতীয়

    এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশী দুই নারী বিজ্ঞানী

      প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৩ , ৯:১১:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: এশিয়া মহাদেশে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। এ তালিকায় এসেছে বাংলাদেশের দুই নারী বিজ্ঞানীর নাম।

    রোববার ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্থান পাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ও চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডা. সেঁজুতি সাহা।




    ডা. গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় (জলভূমি পরিবেশবিদ্যা) পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংরক্ষণ সংস্থা ওয়াইল্ডটিমের একজন বোর্ড সদস্য। ওয়াইল্ডটিম বাংলাদেশের দ্রুত হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। টেকসই জলবায়ুর ক্ষেত্রে অবদানের জন্য শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

    ডা. গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী বাংলাদেশে জলজ বাস্তুতন্ত্র ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি সংরক্ষণে তার অবদানের জন্য ২০২২ সালে ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ের ফাউন্ডেশন পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি দেশের জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করেছেন। এছাড়া মাছ ধরার বাতিল জালকে কার্পেটের মতো পণ্যে পরিণত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে নারীদের আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি করেছেন, যা দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে।




    ডা. সেঁজুতি সাহা জীবন বিজ্ঞানে অবদানের জন্য শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের তরুণ এ বিজ্ঞানী বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণায় ইক্যুইটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ডা. সেঁজুতি সাহা বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি দেখিয়েছিলেন, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস রক্ত-মস্তিষ্কের বাধা অতিক্রম করতে পারে ও বাংলাদেশি শিশুদের মেনিনজাইটিস হতে পারে।

    চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন ডা. সেঁজুতি সাহা। এর মধ্যে রয়েছে- জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ কর্তৃক উইমেন অব ইন্সপিরেশন ২০২১অ্যাওয়ার্ড এবং সংক্রামক রোগের অনুসন্ধানে ২০২০ সালে ওয়েবি অ্যাওয়ার্ড (চ্যান জুকারবার্গ ইনিশিয়েটিভসহ)।




    ডা. সেঁজুতি সাহা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল পোলিও নির্মূল উদ্যোগের তৈরি পোলিও ট্রানজিশন ইন্ডিপেন্ডেন্ট মনিটরিং বোর্ডের (টিআইএমবি) সদস্য।

    ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’র ওয়েবসাইটে বলা হয়, অষ্টমবারের মতো এ তালিকা করা হয়েছে। এবার বিশ্বকে রূপান্তরে যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য হিমবাহ চক্র ও কাঠামোগত ভূতত্ত্ব বোঝা থেকে শুরু করে মহাকাশ অনুসন্ধানে ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের বেছে নেয়া হয়েছে।




    ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় এবং গবেষণার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে- বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরাও মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় তাদের স্থান নিশ্চিত করেছেন।

    ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ম্যাগাজিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এশিয়ার গবেষকরা বড় স্বপ্ন দেখতে থাকেন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা অজানা সীমানা ঠেলে তাদের দলের সহায়তায়, বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।