প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৩ , ২:৪২:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হওয়ার পর এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাচ্ছে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। এজন্য সাগর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।
সকল সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর সংকেত নামিয়ে তোলা হয়েছে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
বজলুর রশিদ জানান, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এটি আজ (১১ মে) সকাল ০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমেনঅবস্থান করছিল।
এটি আরো ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল (১২ মে) তারিখ সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০২ (দুই) নম্বর (পুন) ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
মোখা কক্সবাজার এবং মিয়ামানের কিয়াকপিউ বন্দরে মাঝ দিয়ে আগামী রোববার উপকূলে উঠে আসতে পারে।