• মহানগর

    বাঙালি সংস্কৃতি মুখ্যত গ্রামীণ সংস্কৃতি: ড. অনুপম সেন

      প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৪৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, হিন্দু, মুসলমান ও বৌদ্ধ—সবার সংমিশ্রণে বাংলা সংস্কৃতি। সবাই মিলে বাঙালি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন।

    আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে এই জনপদ গড়ে উঠেছিল। চর্যাপদের সময় থেকে বাংলা গানের ইতিহাস পাওয়া যায়।




    বাংলা গান আর কবিতার একটি বৈশিষ্ট্য আছে, সেটি হচ্ছে অন্ত্যমিল। গানই মুখ্যত বাঙালিদের আসল পরিচয়। এটা মনে রাখতে হবে- বাঙালি সংস্কৃতি মুখ্যত গ্রামীণ সংস্কৃতি। ইউরোপীয় সভ্যতা, পশ্চিমা সভ্যতা মুখ্যত নাগরিক সভ্যতা। গ্রামে ১২ মাসে ১৩ পার্বণ, এর একটি বৈশাখ। এটি বড় পার্বণ। এটি উদযাপন করছেন মানুষ।

    শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ৯টা থেকে চেরাগি পাহাড়ের নন্দন চত্বরে বিশ্ব ভরা প্রাণ শীর্ষক পঞ্চকবির গান কবিতা ও নৃত্যে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। এতে কথামালায় অংশ নেন খেলাঘর চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক একিউএম সিরাজুল ইসলাম ও ফুলকির সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন। সঞ্চালনা করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।




    ড. অনুপম সেন বলেন, ইউরোপীয় রেঁনেসা যা একসময় পৃথিবীকে জাগিয়েছিল, সে ইউরোপীয় সভ্যতা ম্লান হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। এখন জাগছে এশীয় সভ্যতা। মানুষই সবকিছুর মাপকাঠি।

    সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে অন্ধকার দূর করতে হবে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জাতীয় উৎসব।

    শীলা মোমেন বলেন, সব অন্ধকার পরাজিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে প্রগতিশীলতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। তাদের কাছে পঞ্চকবির মর্মবাণী পৌঁছে দিতে হবে।




    সম্মেলক গান ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আবৃত্তিতে অংশ নেন প্রবীর পাল, সঞ্জয় পাল, সুপ্রিয়া চৌধুরী ও কমল।

    পরিষদের সদস্যসচিব রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী শ্রেয়সী রায়ের সংগীত পরিচালনায় একক ও সম্মেলক গানে অংশ নেন আইরিন সাহা, অপর্ণা, তন্বী, এলড্রিন, শুভ্রতা, সিমি, শর্মিলা, শ্রাবণী, তুলি, ডলি সাহা প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ক্লাসিকাল অ্যান্ড ফোক ডান্স ও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content