• অর্থনীতি

    পাকিস্তানে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে স্বর্ণের দাম

      প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৫৩:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ২ লাখ ১৫ হাজার পাকিস্তানি রুপিতে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির ইতিহাসে এর আগে স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য এই পর্যায়ে ওঠেনি।

    পাকিস্তানের স্বর্ণব্যবসায়ীদের সংস্থা অল পাকিস্তান সারাফা জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।




    এইদিন অবশ্য দেশটির মুদ্রা পাকিস্তানি রুপির মানও কমেছে। মঙ্গলবার ডলারের বিপরীতে রুপি মান নেমে হয়েছে ২৮৭ দশমিক ৮৫। অর্থাৎ, পাকিস্তানে এখন এক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ২৮৭ দশমিক ৮৫ রুপি।

    এটিও একটি রেকর্ড। কারণ এর আগে পাকিস্তানে ডলারের বিপরীতে রুপির এই পরিমাণ অবনমনের কোনো রেকর্ড নেই।




    অপব্যয়, দুর্নীতি ও করোনা মহামারির জেরে ডলারের মজুত তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে পাকিস্তান। তার ওপর গত বছরের দেশজুড়ে ব্যাপক বন্যা এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

    বর্তমানে দেশটির সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৩৫ শতাংশেরও বেশি। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির রেকর্ড। এই মূল্যস্ফীতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের খাদ্যপণ্যের বাজার ও পরিবহন খাতে।




    গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পাকিস্তানে এই দুই খাতের ব্যয় বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে দেশটির সাধারণ জনগণ।

    মূল্যস্ফীতি লাগাম টানতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম স্বর্ণের মজুত। একটি দেশের স্বর্ণের মজুত মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকলে মূল্যস্ফীতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

    কিন্তু পাকিস্তানের সামনে সেই পথও নেই। তার একটি কারণ—দেশটিতে স্বর্ণের কোনো খনি নেই। পাকিস্তানের স্বর্ণের বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর।




    অপর কারণটি স্বর্ণ আমদানির সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার প্রায় সম্পূর্ণভাবে ডলারনির্ভর। দেশটির ডলারের মজুত তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বর্তমানে খাদ্যপণ্য ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য আমদানির জন্য ডলার ব্যয়ের অনুমতি দিচ্ছে না পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।




    0Shares

    আরও খবর 13

    Sponsered content