• জাতীয়

    আলোচনায় বসতে বিএনপিকে সিইসির আমন্ত্রণ

      প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২৩ , ১০:২৯:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোকে আলোচনায় বসতে চিঠি দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তিনি এ চিঠি পাঠিয়েছেন।




    চিঠিতে তিনি বলেন, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি বিগত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার সহকর্মী নির্বাচন কমিশনাররাও একই তারিখে দায়িত্ব নিয়েছেন।

    সিইসি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমরা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন ধারাবাহিকভাবে করে আসছি। জাতীয় সংসদের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করে এ বিষয়ে সদিচ্ছা ব্যক্ত করে আসছে।




    তিনি আরও বলেন, আমরা সম্যক অবগত আছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রথম থেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা ব্যক্ত করে এই কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। আপনারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যতীত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তও বারংবার ব্যক্ত করেছেন। আপনাদের নিজস্ব দলীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।

    তবে, নির্বাচন কমিশন আপনাদের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হলেও মনে করে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের সঙ্গে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় হতে পারে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল।




    সিইসি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাকে, আপনার দলের অন্য নেতাদের, প্রয়োজনে সমমনা দলসমূহের নেতাদের নির্বাচন কমিশনে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সময় সম্মত হলে, দিন-ক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।

    ২০২২ সালের ৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি অংশ নেয়নি।




    এরপর থেকেই বারবার তাদের আলোচনায় আসার জন্য গণমাধ্যমে সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।




    আরও খবর 17

    Sponsered content