প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১১:১১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও উড়তে পারেনি বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট। উড্ডয়নের আগমুহূর্তে হঠাৎ ইমার্জেন্সি দরজা খোলা থাকার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এতে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পরিকল্পনা বদলে ফেলেন পাইলট।
বুধবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৩৯৬ নম্বর ফ্লাইটে ঘটে এ ঘটনা। এ সময় যাত্রীদের কান্নার রোল পড়ে যায়।
বিমান সূত্র জানায়, বুধবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে বিজি-৩৯৬ ফ্লাইটটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসার কথা ছিল। পরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১০টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে উড়োজাহাজটি ঠিকমতোই টার্মিনাল ভবন থেকে রানওয়ের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে বেজে ওঠে বিমানের অ্যালার্ম। পরে ক্রু ও পাইলটরা দেখতে পান এটি ইমার্জেন্সি এক্সিটের (বের হওয়ার জরুরি নির্গমন পথ) অ্যালার্ম।
অ্যালার্ম বেজে ওঠার পর রানওয়েতে থাকা অবস্থায়ই উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পাইলট। ধীরে ধীরে রানওয়ে থেকে সরে এয়ারক্রাফটকে টার্মিনালের দিকে নিয়ে যান। এয়ারক্রাফটের ইমার্জেন্সি এক্সিট আসলেই খোলা ছিল না, ফলস অ্যালার্ম ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে পাইলট এবং বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান বিমানের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাত দেড়টায় ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিলেন।
ফ্লাইটটিতে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন নাট্যকর্মী ও নির্মাতা আবু সুফিয়ান বিপ্লব। ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘অবশেষে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-৩৯ প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ঢাকায় পৌঁছালাম। পাইলটের সতর্কতা ও আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় বেঁচে গেলাম। ফ্লাইট যখন টেকঅফ করবে তখনই, পাইলট দেখতে পান ইমার্জেন্সি ডোরে কোনো সমস্যা, পাইলট আবার ফিরে যান টার্মিনালে। প্রায় তিন ঘণ্টা ইঞ্জিনিয়াররা চেক করার পর, ঢাকায় আসলাম। আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া।’