প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৯:৪৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
এস.ডি.জীবন: একুশের চেতনায় সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলা গেলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
তিনি বলেন, একটি বই একজন বন্ধুর সমান আরএকটি ভাল বই একটি লাইব্রেরি। তিনি আরও বলেন, একুশের প্রথম কবিতা কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি এই কবিতাটি চট্টগ্রাম থেকেই কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী লেখেন এবং তা কোহিনূর প্রেস থেকে ছাপিয়ে লালদিঘি ময়দানে পাঠ করা হয়। চট্টগ্রাম দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে। তিনি ছেলে মেয়েদের নিজের শেখর বাংলার ভীত শক্ত করার আহ্বান জানান।
১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার অমর একুশে বই মেলায় পেশাজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
একুশের চেতনায় পেশাজীবীদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা.এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
আরও বক্তব্য রাখেন চসিক কাউন্সিলর মো.মোরশেদ আলম, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো .মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ট্রেজারর এড. মেজবাহ উদ্দীন, নারী নেত্রী এড. রেহেনা বেগম রানু, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, একুশের প্রথম কবিতা ছাপানোর জন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকার তৎকালীন ম্যানেজার দবির উদ্দিনকে জেলে যেতে হয়। সে সময় আজাদী পত্রিকার সম্পদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকও অনেক নির্যাতনের স্বীকার হন। তিনি এই অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে মরনোত্তর একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুদের হাতে মোবাইন নয়। তাদের হাতে বই খাতা তুলে দিতে হবে। তিনি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবদের প্রতি আহ্বান জানান।