প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১২:৫৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ আব্দুল আল মামুন: শেখ হাসিনার মতো একজন শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রধান আছেন বলেই শিক্ষা ক্ষেত্রে আজ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। দেশে এখন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই। ভালোভাবে পড়াশোনা করে দক্ষ মানবসম্পদ ও সুনাগরিক হলেই দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে।
২১ জানুয়ারী (শনিবার) চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি নবীণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমরা পড়াশোনার জন্য এসেছ, তোমরা আমাদের সন্তান তুল্য। আমরা বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, আমাদের সন্তানদের সমতুল্য সুযোগ সুবিধা যেন পাও। আমরা পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলছি। আর সে লক্ষ্যে মানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরল আনোয়ারের সভাপতিত্বে স্প্রিং ২০২৩ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী আজম স্বপন, এহসানুল হক রিজন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের কোঅর্ডিনেটর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক ও নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে প্রাযুক্তিক জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের এ যুগে শিক্ষার্থীদের বিশ্বগ্রামের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কর্মমূখী শিক্ষা প্রদান খুবই জরুরি ।
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যোগ্য ও দক্ষ তরুণ নেতৃত্ব তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন বলেন, আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচিত নিজেদের জীবনকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তাদের মাধ্যমে আমরা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক উপদেষ্টা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. এম মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক অত্যন্ত মেধাবী। তারা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করেন। যার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ দেশ ও বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
সমাপনী বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো নূরল আনোয়ার বলেন, আজকে যারা নবীণ, নতুন মুখ, তারা আগামী দিনে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দেবে। তোমরাই দেখাবে জাতিকে নতুন আলোর সকাল। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তিত হবে তোমাদের বুদ্ধিমত্তা ও নেতৃত্ব গুণে। সে জন্য প্রয়োজন তোমাদের জ্ঞান ও গুণাবলিতে প্রস্তুতি। এখনই তোমাদের জন্য সে সময়। এখনই প্রয়োজন সুযোগের সৎ ব্যবহার।
তিনি আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে ইতিবাচক ভাবে ব্যবহার করে তোমরা নিজেদেরকে দক্ষ জনশক্তি ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, বোর্ড অব ট্রাস্টির সম্মানিত সদস্য জনাব মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ব্যবসায় অধ্যয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: ফসিউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল এডভাইজার ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া প্রমূখ।
নবীন বরণে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রত্নগর্ভা বেগম আশ্রাফুন্নেসা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।