• আন্তর্জাতিক

    ২০২৩ সালেই গ্যাস সংকট ভয়াবহ হয়ে উঠবে ইউরোপে: কাতার

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ৯:১৫:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জেরে আগামী বছরই ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্যাস সংকটে ইউরোপ পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি।

    রাশিয়া সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে অন্যান্য উৎস থেকে গ্যাস কিনে সাময়িকভাবে হয়তো এই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে, কিন্তু সেসব উৎস টেকসই হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তরলীকৃত গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারী এই দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী।



    মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল কাবি বলেন, ‘এই শীতে ইউরোপ তেমন সমস্যায় পড়বে না। কারণ, বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে তাদের গ্যাসের মজুত পরিপূর্ণ অবস্থায় রেখেছে। এটা ভাল।’

    ‘কিন্তু সামনের বছর থেকেই গ্যাস ইউরোপের প্রধান ইস্যু হয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপ রাতারাতি কোনো বিশাল আকারের পারমাণবিক চুল্লি প্রস্তুত করতে পারবে না।’

    ‘যদি কয়লাভিত্তিক বা জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইউরোপ চালু করে, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা; কিন্তু সেটিও সম্ভব নয়, কারণ রা যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ইউরোপকে গ্যাসের ওপরই নির্ভর করতে হবে।’



    ‘কিন্তু সেই গ্যাস মিলবে কোত্থেকে? রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে গেছে। বিকল্প যেসব উৎস সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ভাবছেন, সেসবের কোনোটিই টেকসই উৎস নয়। সাময়িকভাবে হয়ত সেসব থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে (গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে) রাশিয়ার বিকল্প হয়ে ওঠার মতো অবস্থা ওইসব উৎসের নেই।’

    রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা ব্যাপক। এতদিন এই মহাদেশের মোট গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসত রাশিয়া থেকে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একরাশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।



    এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যদিও গ্যাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তবে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। সেই সঙ্গে শর্ত দিয়েছে— বাইরের কোনো দেশ যদি রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কিনতে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুশ মুদ্রা রুবলে তা কিনতে হবে। ইইউ’র অনেক সদস্যরাষ্ট্র এই শর্তে আপত্তি জানিয়েছে।

    তবে ইইউয়ের নেতারা জানিয়েছেন, আপাতত নরওয়ে ও আলজেরিয়া থেকে এলএনজি গ্যাস আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হবে।



    ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাদ আল কাবি বলেন, ‘গ্যাসের ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী হয়। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো দেশ থেকে গ্যাস কেনেন, সেক্ষেত্রে ওই দেশের সঙ্গে ১৫, ২০ কিংবা ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তিতে আপনার যেতে হবে।’

    ‘ইউরোপ যেসব উৎস থেকে গ্যাস কেনার কথা ভাবছে, আমার মনে হয় না তারা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।’

    এসএমডব্লিউ



    0Shares

    আরও খবর 15

    Sponsered content