• আন্তর্জাতিক

    সীমান্তে যা চলছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক : চীনা রাষ্ট্রদূত

      প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:০৬:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    আন্তর্জাাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি‌মিং।




    সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের স‌ঙ্গে বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এমন মন্তব‌্য ক‌রেন তিনি।

    চীনা রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, বন্ধু‌দের ম‌ধ্যে যে রকম কথা হয়, আমাদের মধ্যে সে রকম কথা হ‌য়ে‌ছে। দ্রুত রো‌হিঙ্গা প্রত‌্যাবাসনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সহ‌যো‌গিতা নি‌য়ে আলোচনা হ‌য়ে‌ছে।

    এ সময় সাংবাদিকরা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কা‌ছে বাংলা‌দেশ-‌মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নি‌য়ে জান‌তে চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, পররাষ্ট্রস‌চিব আমা‌কে এ নি‌য়ে বলেছেন। সীমান্তে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি এটি একটি আলোচনার বিষয়।

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেগুলো জানাতে গত সোমবার প্রথম দফায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসিয়ান জোটের দূতদের ডাকা হয়।



    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সেই ব্রিফিংয়ে ঢাকায় মিশন না থাকা লাওস ও কম্বোডিয়া বাদ ছিল। বাদ ছিল মিয়ানমারও। বাকি সাত দেশের কূটনীতিকেরা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসিয়ানের সহযোগিতা চায় ঢাকা।

    পরদিন মঙ্গলবার ঢাকায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের একই ভেন্যুতে ডেকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

    সে‌দিনের ব্রিফিংয়েও বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ জনের মতো রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আরব বিশ্বের দূতরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ব্রিফিংয়ে চীনের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি।

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বেশ কয়েকদিন আগে গোলাগুলি শুরু হয়। এক পর্যায়ে একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হন।

    এর আগে কয়েক দফায় মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল ও গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশের ভেতরে। প্রতিবারই মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিশেষজ্ঞরা সমালোচনা করে বলছেন, এমন মৌখিক প্রতিবাদ কার্যকর কিছু নয়।

    0Shares

    আরও খবর 15

    Sponsered content