• জাতীয়

    বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ: ধর্ম উপদেষ্টা

      প্রতিনিধি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:৪৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আবহমানকাল থেকেই এদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করে আসছে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আমরা সবাই এক পরিবার এবং এটা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। বহু বছর ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম এবং উপাসনালয় পাশাপাশি অবস্থান করছে এবং ধর্মচর্চা পালন করে যাচ্ছে।




    কারণ বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে একটি সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরের পাথরঘাটা সেন্টপ্লাসিডস স্কুল ও পবিত্র জপমালা রানির গির্জা পরিদর্শন শেষে কাথলিক আর্চডাইয়োসিসের আর্চবিশপ হাউসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম আর্চডাইয়োসিসের ভিকার জেনারেল ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স’র সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও, চট্টগ্রামের বিভিন্ন গির্জার পাস্টারগণ, কাথলিক সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্রতধারী ব্রাদার ও সিস্টার এবং খ্রিস্টভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।




    ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম জপমালা রানি ক্যাথিড্রাল গির্জা ৪০০ বছরের পুরোনো একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও এখানে স্কুল, কলেজ এবং হাসপাতাল রয়েছে। এসবের পাশাপাশি এতিম, দুস্থ ও বিধবাদের জন্য স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মানবতার সেবায়ও আমাদের নিয়োজিত থাকা দরকার। বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুদের নিয়ে আপনারা সমসাময়িক বিষয় যেমন ডেঙ্গু, মাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা এসব নিয়ে সেমিনার বা আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারেন। এতে সবার মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জেগে উঠবে।




    তিনি আরো বলেন, একশ্রেণির দুর্বৃত্ত মাঝেমধ্যে উপসনালয়ে হামলা চালায়। আপনারা মনে রাখবেন রাষ্ট্র পক্ষপাতহীনভাবে প্রতিটি ধর্মের পাশে রয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ধর্মচর্চা, ধর্মঅনুশীলন এবং ধর্মপ্রচার এসব বিষয়ে সরকার সবসময় আপনাদের সহযোগিতা করে যাবে।

    ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবার প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। নির্বিঘ্নে পূজার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি ৬৪ জেলার ডিসি, এসপিকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে স্থানীয় লোকদের সাথে যোগাযোগ করে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমাদের উচিত সবাইকে সাথে নিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া।




    আরও খবর 17

    Sponsered content