নুরুল আবছার নূরী : নারী জাগরণের অগ্রদুত বেগম রোকেয়া দিবস ও আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথ উদ্দ্যেগে র্যালী ও আলোচনা সভা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছফি উল্লাহ সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মিলায়তন সকাল ১০ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ডক্টর মুহাম্মদ সেলিম রেজা, নির্বাচন কর্মকর্তা বাবু অরুণ উদয় ত্রিপুরা,সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল আলম ভূয়াঁ।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা- ছাত্রীগণ ও উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।আলোচনা সভার শেষে ৪জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।
৪ জন জয়ীতা ১) শ্রেষ্ঠ জয়িতা সফল জননী লেলাং ইউনিয়নের গোপালঘাটা বেনুরা বেগম স্বামী আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের তারঁ সন্তান সিনিয়র সহকারী সচিব বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪ তম।
২) শ্রেষ্ঠজয়িতা শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেছেন শিলা নন্দিত স্বামী দিপক রঞ্জন বিশ্বাস রাঙ্গাপানি চা-বাগান হারুয়ালছড়ি, ভুজপুর।
৩) শ্রেষ্ঠজয়িতা নারী নির্যাতনের বিভিশিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা নারী হোসনে আরা বেগম পিতা আবদুল খালেক আমতলী ভুজপুর ইউনিয়ন ভুজপুর থানা।
৪) সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রেখেছেন নারী সেলিনা আকতার স্বামী মৃত ইসমাইল হোসেন রানা।উত্তর রাঙ্গামাটিয়া ফটিকছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষিকা পল্লবী খাস্তগীর। বক্তারা বলেন বেগম রোকেয়া হচ্ছেন প্রথম নারী যিনি নিজ শিক্ষিত হয়ে অবহেলিত নারী সমাজকে আলোকিত করে দেশ ও জাতিকে উন্নত শিখরে নিয়ে গেছেন। এক সময় নারীরা পিছিয়ে পড়েছিল। তাঁর অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুন্দর জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেন।বর্তমানে নারী সমাজ দিন দিন নানান কাজে সমপ্রত্ত করে তুলে পুরুষদের মত দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।