চট্টবাণী: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে এবার আউটার স্টেডিয়াম বা সিআরবিতে নয়, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ভেঙে ফেলা পুরোনো শিশুপার্কের পরিত্যক্ত মাঠেই ১১-১৬ ডিসেম্বর বিজয় মেলা। লটারির মাধ্যমে মেলার স্টল দেওয়া হবে।
মেলামঞ্চে থাকবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজয়ের কথামালা।
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও ছব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বিজয় মেলার আয়োজন করছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ফরিদা খানম মেলার ভেন্যু পরিদর্শন করেন এবং মেলার আয়োজন কীভাবে হবে সেটির একটি নকশাও দেখেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক, এনডিসি ফারহানুর রহমান, স্টাফ অফিসার টু ডিসি শাকিব শাহরিয়ার, বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব আহমেদ নেওয়াজ, সদস্য নুরুল আবছার মজুমদার স্বপন, হাসান মারূফ রুমী, শাহিন শিরীণ, কাজী মাজহারুল হক, মানিক হোসাইন, আসমা আক্তার, রিয়াদ বিন মাহবুব প্রমুখ।
বিজয় মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সভায় বাস্তবসম্মত বিজয়ের উল্লাসে পরিণত করার প্রত্যয়ে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার বিষয়ে জোর দেওয়াসহ মেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মহান বিজয় মেলাকে ঘিরে কোনো মহল যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান জানান, খেলোয়াড় ও শিশু-কিশোরদের ক্রীড়াচর্চার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ আউটার স্টেডিয়াম থেকে মেলার স্থান পরিবর্তন করে সার্কিট হাউস সংলগ্ন ভেঙে ফেলা পুরোনো শিশুপার্কের পরিত্যক্ত মাঠেই স্থানান্তর করা হয়। লটারির মাধ্যমে মেলার স্টল বরাদ্দ হবে।
বিজয় মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।