নুরুল আবছার নূরী : নৈতিক অবক্ষয় ও সুশিক্ষার অভাবে শিক্ষার্থীরা দিন দিন মোবাইল ফোন আসক্তি হচ্ছে বেশি ফটিকছড়ি গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে নৈতিক শিক্ষা ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে যাবে।
"সুশিক্ষিত জাতি গঠনে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই" এই প্রতিপাদ্যের আলোকে ফটিকছড়ি গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজ এর অভিভাবক সমাবেশ, সমাপনী শিক্ষার্থী বিদায় ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩০ নভেম্বর শনিবার, সকাল ০৯ টা থেকে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের সাজ - সাজ উৎসবমুখর আনন্দঘন পরিবেশে এক মনোরম অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।প্রীতি অভিভাবক সমাবেশ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী শিক্ষার্থী বিদায় ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান শাহজাদা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে বিদ্যাপীঠের পরিচালক ও শিক্ষানুরাগী,বিশিষ্ট ব্যাংকার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,মোঃ আবদুল মাবুদ চৌধুরী(কাজল) , এম শাহাবুল আলম মিনার, মোহাম্মদ জামাল হোসেন । দিনব্যাপী উক্ত বর্ণিল অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ফটিকছড়ি গ্রামার ফাউন্ডেশন এর চীফ কো-অর্ডিনেটর, কলামিস্ট এম.কামরুল হাসান চৌধুরী।
ফটিকছড়ি গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাওলানা আলী আজগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন প্রবীণ শিক্ষক আবু সাঈদ চৌধুরী,স্কুলের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মেরিন আফরোজ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অভিভাবকদের পক্ষ নাজিরহাট কেয়ার পয়েন্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী পলাশ, আন্তর্জাতিক গবেষণা পর্যবেক্ষণ সংস্থা চট্টগ্রামের কর্মকর্তা প্রবীর দত্ত,বিশিষ্ট বীমা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, ফটিকছড়ি এমদাদ মটরস সত্ত্বাধিকারি এমদাদ হোসেন, ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জনী শীল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সরওয়ার, নজরুল ইসলাম, জাবেদুল আবেদীন লিটন ও পিংকী পাল প্রমূখ। বিদ্যাপীঠে প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের স্মৃতি মধুর ভালবাসার আবেগ অনুভূতি মিশ্রিত সাবলীল ইংরেজি ও বাংলা ভাষা মিশ্রিত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার তানিশা, আবিয়া জান্নাত, ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাবিহা জান্নাত।
সভায় বক্তারা বলেন, সুশিক্ষিত জাতি গঠনে মানসম্মত শিক্ষার যেমন বিকল্প নেই তেমনি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুমিকাও অনস্বীকার্য। ফটিকছড়ি গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতিতে সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে বাংলা ও ইংরেজি সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় যুগোপযোগী মৌলিক বিষয়াবলীর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উত্তরোত্তর ধারাবাহিকভাবে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী ও প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশেষ উপহার, কৃতি শিক্ষার্থী পুরস্কার, শ্রেণি উত্তীর্ণ মেধা স্থান অর্জন পুরস্কার, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগি বিজয়ী পুরস্কার, সর্বোচ্চ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি পুরস্কার এবং বিদ্যালয়ের নিয়মিত দৈনিক প্রাতঃসমাবেশে সেরা পারফরম্যান্সকারি পূরস্কার ইত্যাদি নানা উৎসাহ মূলক বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন পাক তেলোয়াত করে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মাশরুর হাসান চৌধুরী, নাতে রাসুল (দ.) পরিবেশন করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা হাসান, গীতা পাঠ করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি মণি ত্রিপুরা ও ত্রিপিটক পাঠ করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র উম্যামং মারমা উজয়। এরপর উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের শুভ সুচনা ঘটে।