নুরুল আবছার নূরী : জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে আলো ছড়াচ্ছে শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। ফটিকছড়ি উপজেলা ১১ নং সুয়াবিল ইউনিয়নের শোভনছড়ি গ্রামে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সুয়াবিল ইউনিয়নের ৫,৬ ও ৭ ওয়ার্ড তিনটি ওয়ার্ড মধ্যেবর্তী এলাকায় অবস্থান। এই তিনটি ওয়ার্ডে ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ১২-২৪ কিলোমিটার দূরে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ছাত্র- ছাত্রী যাতায়াতের অসুবিধা কারণে অনেক শিক্ষার্থী অকালে ঝরে পড়ত।
এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ স্থানীয় প্রশাসন ও শোভনছড়ি প্রবাসী সাংগঠনের সহযোগিতায় শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ৯৬ শতক জায়গায় ৪টি শ্রেণী কক্ষ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে শিক্ষকদের জন্য অফিস কক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর পর্যন্ত শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
২০২৫ সালে থেকে ১০ শ্রেণীর চালু হবে। প্রায়৩০০ জন ছাত্র- ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারী ১০ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তা ২০২৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ব্যানবেইস শাখা থেকে FIIN নাম্বার এবং গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছেন।
সমস্যা নিরুপন যোগ্যতা সম্পন্ন আরও ৫ শিক্ষক, শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন, যুগের চাহিদা অনুযায়ী বেতন ভাতা ও সম্মানি প্রয়োজন। বিদ্যলয়ের পিছনে সীতাকুণ্ড পাহাড় থেকে প্রবাহিত শোভনছড়ি খালের গতি পরিবর্তন করে বিদ্যালয়টি ভাঙ্গনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিদ্যালয়টি দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০টি পরিবারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা ৬ কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনা করে যাচ্ছে। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।
বিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা সমাধানের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মফিজুল আনোয়ার ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ সেনা বাহীনির সাবেক হাবিলদার (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফি উল্লাহ। তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত নির্বাহী কমিটির সদস্য।