সিটি রিপোর্টার: গত ২৪ নভেম্বর রাত ২টার সময়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত পতেঙ্গা মডেল থানাধীন মাদ্রাসা গেইট ভিআইপি রোডস্থ জুলেখা ডেইরি ফার্ম থেকে দুই কর্মচারীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে হাতমুখ বেঁধে ৯টি ফ্রিজিয়ান গরু,৫টি বাছুর (সর্বমোট মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা) লুট করে দুটি পিকআপে করে নিয়ে যায়।
উক্ত ডাকাতির সংবাদ পাওয়া মাত্রই বন্দর জোন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় অফিসারসহ গরু উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে।
দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সেলিম (৩০)-কে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানা এলাকা থেকে ডাকাতির সাথে জড়িত মাইন উদ্দিন (২৩)-কে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেখানোমতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন নলপানি গ্রামস্থ পলাতক ডাকাত সাদ্দামের বসত ঘরের পাশে অবস্থিত গোয়ালঘর থেকে লুটকৃত ২টি গরু উদ্ধার করে,এবং বাকি ১২টি গরু চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানাধীন আমিরাবাদস্থ খবিরের গোয়ালঘরে আছে বলে জানায়।
চট্টগ্রাম জেলার গোয়েন্দা শাখার একটি টিম খবিরের খামারে অভিযান পরিচালানা করলে লুণ্ঠিত বাকি ৭টি গরু ও ৫টি বাছুর উদ্ধার করে। মামলার বাদী গরুগুলোকে তার নিজের লুট গরু বলে শনাক্ত করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় খুন, ডাকাতি , দস্যুতা ও চুরির ১০টি মামলা রয়েছে।
লুট -চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলার পলাতক ডাকাতদের আটকের চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি মাহাফুজুর রহমান জানিয়েছেন।