চট্টবাণী ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘পতিত আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের দুর্বিষহ শাসনামলে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। দেশের মানুষ তাদের সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছিল।
জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতা পেলেও এখনো আমাদের দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না। ’
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নির্ভীক শহীদ ডা. মিলনের আত্মদানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তার দৃঢ় অঙ্গীকার। বুকের রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়। ’
তিনি বলেন, ‘শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে। আজকের এদিনে আমি ডা. মিলনসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ’