নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে জনসেবা ব্যাহত।এই অফিসে ৬ জন কর্মকর্তার পদ রয়েছে,তমধ্যে আছে মাত্র একজন। দীর্ঘদিন জনবল সংকট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কার্যালয়টি।
জানা যায় গত সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ক্ষেত্র সহকারী পদে একজন বদলী জনিত কারণে চলে যায়। এতে একা হয়ে পড়ে গত মে মাসে যোগদানকারী জৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম তাঁর কাদে ভার দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে জনসংখ্যা আয়তনের দিক সর্ববৃহত উপজেলা মৎস্য অফিস।
মৎস্য কার্যালয়ের হিসাব মতে উপজেলাতে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১হাজার ১১৬জন।মৎস্য চাষিব বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন বিভিন্ন জলাশয়ে /পুকুরে। ১হাজার ১৪৫ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে। রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প,তেলাপিয়া, কৈ,শিং মাগুর, পাঙ্গাশ মাছের চাষ থেকে ৫হাজার ৫৮১ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়।
এছাড়া গেজেট ভুক্ত ১টি খাল থাকলেও উপজেলায় ২০টির অধিক খাল বা ছড়া রয়েছে। রয়েছে ১ মাত্র প্রকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী ও। মৎস্য অফিস বলেছেন এসব কাজের সঠিক তদারকি ও তথ্য নিরুপনে পর্যাপ্ত জনবল ও প্রজেক্টের দরকার পড়ে। কিন্তু দুইটিতেই রয়েছে সংকট।
অফিস সূত্রে জানা যায় এ দপ্তরে অনুমতি পদের সংখ্যা ৬টি। বর্তমান কর্মরত মৎস্য কর্মকর্তা একজন। এছাড়া সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক পদেসহ মোট ৬টি পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। এ পদগুলোতেই জনবল না থাকায় সাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
দপ্তরটির তালা খোলা, পতাকা তোলাসহ সকল কাজ মৎস্য কর্মকর্তা নিজেকেই করতে হয়।ফলে সময় মত কাজ গুলো করতে বেকায়দায় পড়তে হয় তাকেঁ।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন একটা জেলা সমপরিমান ফটিকছড়ি উপজেলা জনবল সবচেয়ে কম। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলায় মাসিক সভা যোগদান , ট্রেনিং, ফিল্ড ভিজিটিং, রোসাংগীরি ইউনিয়নের ট্যাক অফিসারের দায়িত্ব পালন উপজেলায় মাসিক সমন্বয় সভা এ গেলে অফিস বন্ধ থাকে। ৬ জনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে।ফলে অভিযান পরিচালনা করা হয় না। এ বিষয় চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।তিনি যথেষ্ট উদ্ধিগ্ন। জনবল সংকট নিরসনে মৎস্য অধিদপ্তরে অবহিত করেছেন।আশাকরিছি অতিদ্রুত এর সুরাহা হবে।