চট্টবাণী : ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭ তম চট্টগ্রাম বিভাগীয় জন্মোৎসব শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)। সৎসঙ্গ বাংলাদেশ’র এ উৎসব নগরের ফিরিঙ্গী বাজার মেরিনার্স সড়কের নেভাল-২ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মমহোৎসবে অংশ নিতে এবারও মানুষের ঢল নামবে বলে আয়োজকরা আশা করেছেন। উৎসবে চিকিৎসক সম্মেলন ও দিনব্যাপি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন চট্টগ্রামের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আয়োজকরা জানান, গতবছর একই মাঠে (নেভাল-২) ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম জন্মমহোৎসব এবং তার আগের বছর পলোগ্রাউন্ডে ১৩৫তম জন্মমহোৎসবে লাখো মানুষের সমাগম হয়। ১৩৭তম জন্মমহোৎসব মাঙ্গলিক নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপি মহাসমারোহে উদযাপিত হবে। চট্টগ্রাম নগর ও জেলাসহ আশপাশে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চলছে প্রচারণা। উৎসবস্থল ও আশপাশের এলাকা সাজানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটে সমবেত সান্ধ্যকালীন বিনতি প্রার্থনা, ৫টা ৪১ মিনিটে ভক্তিগীতি প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের), রাত ৮টায় ভাণ্ডারায় প্রসাদ বিতরণ করা হবে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে মাঙ্গলিক বেদ পাঠ, নহবত ও ঊষাকীর্ত্তনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উৎসব শুরু হবে। ভোর ৬টা ৪ মিনিটে উৎসব মণ্ডপে সমবেত প্রাতঃকালীন বিনতি প্রার্থনা, নামজপ ও আশিষবাণীসহ অমিয় সদগ্রন্থাদি পাঠ হবে। সকাল পৌনে ৭টায় নাম সংকীর্তন, ৮টা ১৫ মিনিটে শিশু-কিশোরদের নৃত্য (সাধারণ) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সোয়া ১১টায় শুরু হবে চিকিৎসক সম্মেলন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। দুপুর পৌনে একটায় মাতৃসম্মেলন (আলোচ্য বিষয়: মেয়েদের বৈশিষ্ট্য-পোষণী ব্রতই শিক্ষার বাস্তব ভিত্তি), দুপুর একটা থেকে ভান্ডারায় প্রসাদ বিতরণ, সোয়া ২টায় ছড়ার গানের অনুষ্ঠান, বিকেল তিনটায় সাধারণ সভা (আলোচ্য বিষয়: ধর্ম মূর্ত্ত হয় আদর্শে), সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিট সমবেত সান্ধ্যকালীন বিনতি প্রার্থনা। এরপর নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের উৎসব সম্পন্ন হবে।
সাধারণ সভায় সৎসঙ্গ বাংলাদেশ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব এসপিআর, সহ-সম্পাদক সুব্রত আদিত্য এসপিআর, সৎসঙ্গ বিহার চট্টগ্রামের সভাপতি তিমির কান্তি সেন এসপিআর প্রমুখ বক্তব্য দেবেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র আচার্য্য এসপিআর, সম্পাদক অজয় কুমার ধর ও প্রধান সমন্বয়ক তাপস কুমার নন্দী।