নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা পালিয়েছে। দেশের মানুষ আরেকটি স্বাধীনতা পেয়েছে। এ স্বাধীনতাকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
২০ নভেম্বর, বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা মৎসজীবি দলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা বিগত ১৫ বছর ফটিকছড়িতে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়নি। ৩ জন একত্রিত হলেই গ্রেফতার করতো। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। তার দোসর এখনো রয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো চলমান আছে। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য ও হারুয়ালছড়ি বিএনপির সদস্য সচিব মুহাম্মদ হাসান, উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার, পৌর বিএনপির সদস্য আমান উল্যাহ চৌধুরী, মহিলাদলের সভানেত্রী তসলিমা আক্তার, উপজেলা যু্বদলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাজারী, পৌর যু্বদলের আহ্বায়ক মইন উল্যাহ উজ্বল, শ্রমিকদলের সভাপতি নুরুল আলম মেম্বার।
নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, ফটিকছড়িতে নিরীহ মানুষদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিন। চাঁদাবাজী করা যাবে না। চাঁদাবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না। চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাই আসুন দলমত নির্বিশেষে একটি সুন্দর ফটিকছড়ি বিনির্মানে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আাসি।
নাজিরহাট পৌর যু্বদলের সদস্য সচিব ইবরাহীম বিজয়ের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এইচ.এম.সাইফুদ্দীন, মৎসজীবি দলের সি.যুগ্ম সম্পাদক করিমুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ লোকমান, হাজী বদিউল আলম, হারুয়ালছড়ি মৎসজীবি দলের সভাপতি মোজাহের ও হাবিব প্রমুখ।