কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে জমকালো আয়োজনে আবারো অনুষ্ঠিত হবে বিচ কার্নিভ্যাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বর কার্নিভ্যালের পর্দা উঠবে।সাত দিনব্যাপী আয়োজনে থাকবে বর্ণিল আয়োজন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় বিচ কার্নিভ্যাল সফল করার লক্ষ্যে আলাদা আলাদা উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার বিচ কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আমরা নতুন নতুন আইডিয়া নিচ্ছি, যাতে কার্নিভ্যাল উৎসবমুখর হয়।
তিনি আরও বলেন, অতীতের কার্নিভ্যালের চেয়ে এবার আমরা ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করছি। কার্নিভ্যালে তুলে ধরা হবে কক্সবাজারের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। পর্যটন শিল্প বিকাশই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন, পৌর প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাবের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কক্সবাজার উইমেন চেম্বারের মনোয়ারা পারভীন ও সমন্বয়ক রবিউল আলম।
বক্তারা বিচ কার্নিভ্যাল সফল করতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচ কার্নিভ্যালকে ঘিরে কক্সবাজার শহরকে বর্ণিল সাজে সাজানো হবে। মেলায় থাকবে দুই শতাধিক স্টল। হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা ১০ শতাংশ ছাড় দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া সাতদিনের কার্নিভ্যালে উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবলসহ নানা আয়োজন থাকবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদনে স্থানীয় শিল্পীর পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।