চট্টবাণী ডেস্ক:: ঘূর্ণিঝড় দানা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ১৩ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে এটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠে যাচ্ছে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাশ জানিয়েছেন, দানা উত্তর-পশ্চিম দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ সময় ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি উঠে যাবে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এদিন মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে একই শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। এক্ষেত্রে এটি ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গে সাগর দীপের মাঝ দিয়ে উপকূলে উঠে আসবে। উপকূলের ওঠার সময় এটি ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে পারে কয়েক ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার দিন ও রাত তাণ্ডব চালিয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) এটি শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
দানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়া বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলেও আংশিক প্রভাব পড়তে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ প্রবাহিত হবে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে। এতে সুন্দরবন কিছুটা ঢাল তৈরি করতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।