চট্টবাণী : চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেছেন, আমরা দেখছি সন্ত্রাসী লীগ এখনো দেশের বিভিন্ন জাগয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে বসে আছে। তাদের বলতে চাই- তোমরা হিসাব বোঝো নাই, আমরা তোমাদের গর্ত থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি।
বের হওয়া মাত্রই তোমাদের ধরা হবে। যারা এখনো দেশের আনাচে কানাচে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান।
আপনাদের জায়গা এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তারা ‘গোপালগঞ্জের গোলাপী আর কত কাল জ্বালাবি, এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়, লীগ ধর জেলে ভর, স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
রাফি বলেন, আমরা দেখেছি স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বসে আছে। আমাদের যেসব ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে, দোসরদের না সরালে তাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। স্বৈরাচারের দোসর চুপ্পু এখনো গদিতে বসে আছে। পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই- যদি এই চুপ্পু দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করে তাহলে বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই স্বৈরাচারের দোসর চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে। আর নয় তো যেকোনো সময় বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা আসতে পারে। এখন থেকে ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টার কোনো আল্টিমেটাম হবে না। চুপ্পুর জন্য যেকোনো সময় ঘেরাও হতে পারে।
রাফি আরও বলেন, আমরা দেখেছি গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসীরা আবারও হামলা করেছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই- পালানোর জায়গাও খুঁজে পাবেন না। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই- দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলাকারীদের যদি গ্রেফতার না করেন তাহলে ছাত্রজনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে বাধ্য হবে। তাই দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন। এমন কি সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ওই সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের রক্ত লেগে আছে। ওই ফ্যাসিস্ট লীগ এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার যোগ্যতা রাখে না।
সমন্বয়ক রিজাউর রহমান বলেন, গতকাল ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা এখনো পর্যন্ত ইকবাল ও হানিফসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত যদি তাদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা হাটহাজারী থানা অভিমুখে লংমার্চ করবো।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর মাধ্যমে পুনরায় তাদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। চুপ্পুকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। না হয় আমাদের এই আন্দোলন আবারও গণসমুদ্রে রূপ নেবে।
ষোলশহর স্টেশনে আধাঘণ্টা অবস্থান নিয়ে পরে ছাত্ররা মিছিল করে দুই নম্বর গেট প্রদক্ষিণ করে।