চট্টবাণী: কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। স্বচ্ছ পানিতেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়।
তাই দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
বিশেষ করে ডাবের খোসা যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। পানি কোনভাবেই জমিয়ে রাখা যাবে না। পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এমন জায়গা থাকলে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ডেঙ্গু দিন দিন ভয়ানক আকার ধারণ করছে। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের একটি হোটেলে বিএনপির সাবেক কমিশনার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে। সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের নামে হরিলুট করা হয়েছে। তাই জনগণকে সচেতন হবে আগে। আমাদের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। কেননা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশা বেশি জন্মায়। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথায় কোথায় মশা বেশি, কোন ধরনের মশার উপদ্রব বেশি এবং এ মশার জন্য কোন ওষুধ কতটুকু ছিটাতে হবে, তা নির্ণয় করে ওই জায়গায় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। যেন এসব জায়গায় নতুন করে মশা জন্মাতে না পারে।
জনগণের কল্যাণে জনগণের পাশে থাকতে হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনা লক্ষণ সেনের মতো পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আর সেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ ওয়াসিম। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের কারণে আজ শেখ হাসিনাকে পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বিএনপি। আপনাদের উপর জনগণ তাকিয়ে আছে।
বিএনপির সাবেক কমিশনার ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামশুল আলম, আবুল হাশেম, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, ডা. নুরুল আবসার, মনোয়ারা বেগম, মোহাম্মদ ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ, দিদারুর রহমান লাভু, সালাউদ্দিন কাউসার লাবু, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. লিয়াকত আলী, মো. মহসিন, জালাল উদ্দীন জসিম, ফরিদুল আলম, হাসান লিটন, হাসান চৌধুরী ওসমান, ইয়াকুব চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, আরিফুল ইসলাম ডিউক, মো. ওসমান, সোহরাব হোসেন, আবু মোহাম্মদ মহসীন, মোহাম্মদ হারুন, সায়েফুদ্দিন রাশেদ, মনোয়ারা বেগম মনি, জেসমিনা খানম, অ্যাড. পারভীন, কামরুন্নাহার লিজা, খালেদা বেগম, রোকসানা বেগম মাধু, আরজুর নাহার মান্না, শাহেনেওয়াজ চৌধুরী, জিন্নাতুন নেছা জিনু, মাহমুদা সুলতানা প্রমুখ।