চট্টবাণী: বন্দর শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয় নয়, এটি একই সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে 'চট্টগ্রাম বন্দর: বাস্তবতা ও সংস্কার' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
একই সঙ্গে একটি সমন্বিত বন্দরনীতি প্রণয়ন করতে হবে বলে অভিমত দেন।
ইংরেজি দৈনিক দ্যা পিপলস ভিউ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য ফরহাদ মজহার চট্টগ্রামের বন্দর ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে যারা বন্দর সম্পর্কে ভালো জানেন, একত্রিত হোন।
দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন একটি নীতির বাস্তবতা আছে, চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করেই বন্দরনীতি হওয়া প্রয়োজন।
দ্যা পিপলস ভিউর নির্বাহী সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তারেক হাসান, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও শামসুদ্দিন ইলিয়াস।
পিপলস ভিউর ডেপুটি এডিটর সামসাদ সাত্তারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, বন্দরে বিগত সরকারের উন্নয়নের লুটপাটের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিগত সরকারের নিয়োগ করা অপারেটররা কোন বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।
বর্তমান অপারেটরদের বন্দর থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান বক্তারা।
বন্দরের সেবার মান উন্নত করার বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে বন্দর সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এখনই শুরু করতে হবে।
ফরহাদ মজহার বলেন, দেশে এতদিন ব্যবসার নামে লুটপাট চলেছে। দেশে এখন আর কোনো ব্যবসায়ীর প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগকারী।
চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব নয়, বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।