চট্টবাণী : নগরের তিনটি হত্যা মামলা সহ ৫ মামলায় রাউজানের (চট্টগ্রাম-৬) সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার (শোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন এর আদালত এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক এর আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
এর আগে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট ভবনে আনা হয়। ভবনের নিজ থেকে সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতে প্রবেশর মুখে থেকে আদালতে চারপাশে শত শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের প্রবেশ মুখে পুলিশের বাধা থাকলেও ১০ থেকে ১২ জন যুবক আদালত ভবনে চলে যায়। সেখানে নানা ধরণের পোস্টার নিয়ে তারা এবিএম ফজলে করিমের ফাঁসির দাবিতে আদালতে বিক্ষোভ করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, নগরের পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, চকবাজার থানার তিনটি হত্যা মামলায়য় ফজলে করিমকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলার কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ বলেন, রাউজান থানায় মুনিরীয়া দায়ের করা দুই মামলায় এবিএম ফজলে করিমকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্য পদ হারান ফজলে করিম চৌধুরী। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে একটি হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।