চট্টবাণী: আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ ও বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের উপর অনাস্থা জানিয়ে তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম নামের কাছে এ আবেদন করেন বারশত ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইছমাইল।
লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গেল ৯ সেপ্টেম্বর বারশত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মতে ২ নং "বারশত ইউনিয়ন পরিষদ আনোয়ারা, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব গৃহীত হয়।
তিনি ইউপি পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সভা আহ্বান করেননি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের কথা অগ্রাহ্য করে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে হোল্ডিং নাম্বার প্রদান করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান যৌথভাবে এলজি, এসপি-৩, ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা, টি.আর, খাবিখা, খাবিটা, অতি দরিদ্র কর্ম সংস্থান কর্মসূচী, এডিপি বরাদ্দ সহ সরকার আরও অনেক বরাদ্দ প্রদান করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা কোনো কিছু না জানিয়ে কোন প্রকার সভার আহ্বান না করে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান পরস্পর যোগসাজশে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সালিশ বাণিজ্য, ওয়ারিশ সনদ, জন্ম নিবন্ধনের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবসহ তাদের অনিয়মের বিচার চাই।
অনাস্থা জানানো ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা হলেন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ, ২নং ওয়ার্ডের মো. জমির হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ডের এম এ কাইয়ূম, ৫ নং ওয়ার্ডের মো. ইব্রাহীম খলিল, ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম, ৭ নং ওয়ার্ডের বাবুল চৌধুরী, ৮ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইছমাইল এবং ৯ নং ওয়ার্ডের মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়াও সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বিলকিস আখতার।
বারশত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইছমাইল বলেন, চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হয়েছি। আজকে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর ২নং বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছি।