প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:০২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের একসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসলেও গত ১৮ সেপ্টেম্বর কেবল উপাচার্যের প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আর তাই ফের উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে চবির শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নেয়ামাতুল্লাহ ফারাবি বলেন, আমরা আমাদের উপাচার্য পেয়েছি।
তবে আমাদের দাবি ছিলো একই সঙ্গে উপ-উপাচার্যের প্রজ্ঞাপনও জারি করতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে একাডেমিক কার্যক্রমও শুরু হতে দেরি হবে। করোনা মহামারির কারণে এখনো অধিকাংশ বিভাগ এক বছর পিছিয়ে আছে। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির ছিলো। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করছি অতি দ্রুত আমাদের দুজন উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক এবং একাডেমিক) নিয়োগ দিন। যাতে করে তারা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আমরা আর আন্দোলন করতে চাই না। আমরা আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। কিন্তু আমাদের হল, ক্লাস কবে খুলবে তা আমরা জানি না। তাই অতি দ্রুত সময়ে উপ-উপাচার্য নিয়োগসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম যাতে দ্রুত শুরু করা হয়- সেই দাবি জানাচ্ছি। আমাদের উপাচার্য বলেছেন তিনি সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবেন। আমরা তার এই কথাকে সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হোক।
এর আগে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন চবি উপাচার্যসহ পর্যায়ক্রমে দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্টবৃন্দ ও ছাত্র উপদেষ্টা।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চবির ২০ তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে।