খেলাধুলা ডেস্ক: ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। নতুন টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে এবারের মৌসুম শুরু হবে।
এই টুর্নামেন্টে খেলবে লিগ এবং ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপক্ষ ফেডারেশন কাপের রানার্স আপ মোহামেডান।
নতুন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আজ আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেছে মোহামেডান। খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে এ দিন ক্লাবে উপস্থিত হয়েছিলেন ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
ফুটবলে এক সময় আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ ভিন্ন মাত্রা দিত। সেই দ্বৈরথের উত্তাপ এখন অনেকটাই কম। এখন যে কোনও ক্লাবের জন্যই প্রবল প্রতীদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলের এই পরশক্তিকে সমীহ করে সকল ক্লাবই। তবে সব ছাপিয়ে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমারতো মনে হয় আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। এবং আমার টেকনিক্যাল যে টিম আছে তারাও আমাকে বলেছেন এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেওয়া সম্ভব। খুবই ব্যালেন্সড একটা দল। যদিও বসুন্ধরা আমাদের চাইতে পাল্লায় ভারী। তবে তাদের আমরা একাধিকবার হারিয়েছি। গত মৌসুমে আমরা তাদের সঙ্গে ভালো ফাইট দিয়েছি। সে হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি আমরা চ্যাম্পিয়ন ফাইট দিতে পারবো এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। ’
প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও ফুটবলে বসুন্ধরার অবদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা ফুটবলে যে অবদান রাখছে, টাকা পয়সা থেকে সব কিছু মিলিয়ে আমি তাদের স্যালুট জানাই। তবে আমি তাদেরকে রিকোয়েস্ট করবো দেশি খেলোয়াড়দের বেঞ্চে কম বসিয়ে রাখতে। আমি আশা করি তারা এবার এই বিষয়ে নজর রাখবে। তবে দেশের ফুটবলে তারা বড় অবদান রাখছে। ’
বর্তমান সময়ে আবাহনী-মোহামেডানের লড়াইয়ের চাইতে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে। দর্শক ঢলও এই ম্যাচেই বেশি থাকে। সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কিংস-মোহামেডান লড়াই। এবারও মোহামেডান নিজেদের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে বসুন্ধরাকেই বিবেচনা করছে। তবে আবারও আবাহনী নিজেদের স্বরূপে ফিরবে আবাহনী এমনটা প্রত্যাশা মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরার যে দল হয়েছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে আমাদের মূল প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা। কিন্তু অনেক বছরের ঐতিহ্য মোহামেডান-আবাহনীর লড়াই। আমি অনেক খুশি হব যদি আবার এমন আবহ ফিরে আসে। আবাহনী যদি ভালো দল করতে পারতো তবে আমি আরও খুশি হতাম। আশাকরি তারা সামনে ভালো দল করবে। ’
সামনেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন রয়েছে। গুঞ্জন ছিল নির্বাচনে অংশ নিবেন আলমগীর। তবে বাফুফে সভাপতি হওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘আমার নির্বাচনের কথা জানতে চাইলে আমি জীবনে কখনো নির্বাচন করিনি। কখনো নির্বাচন করবোও না। সেটা কোনও নির্বাচনই করবো না। আমি যেসব স্থানে কাজ করি সেখানে আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়। আমার বিপরীতে কেউ দাঁড়ায় না। এমন সম্মান পাই বলেই আমি সেখানে দায়িত্ব পালন করি। তবে ফুটবল ফেডারেশনে আসলে আমাকে সময় দিতে হবে। নয়তো ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব না। আমি যেহেতু ব্যাবসায়ী আমার পক্ষে এখানে ফুল টাইম সময় দেয়া সম্ভব হবে না। তাই আমি এখানে আসবো না। ’
দীর্ঘ বিরতির পর খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরতে চলেছে। প্রায় তিন মাস কোনও খেলা ছিল না এই বিরতির পর আবারও মাঠে ফিরে নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। দলের কোচ আলফাজ বলেন, ‘এটা অবশ্যই কঠিন একটা কাজ। তবে ফুটবল খেলোয়াড়দেরও নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে অনেক কিছু করার থাকে। তারা যদি সেই কাজ গুলো করে থাকে তবে কাজটা সহজ হবে। এক সপ্তাহ ট্রেনিংয়ের পর থেকে এটা বুঝা যাবে। এছাড়া বিদেশি খেলোয়াড়গুলো আসুক তখন সব বোঝা যাবে। ’