নুরুল আবছার নূরী : উপ-মহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্বিক দরবার মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের হোসাইনী ময়দানে পবিত্র জশনে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বাদে আসর থেকে আওলাদে রাসুল (দ.), গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর প্রপৌত্র, জাঁ-নশীনে অছিয়ে গাউসুলআজম, আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ সহিদুল হক মাইজভাণ্ডারী প্রকাশ ছোট হুজুর (ম.)'র সভাপতিত্বে আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় কমিটি ও খাদেমুল ফোকরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সচিব মাওলানা সৈয়দ তানজীদ হোসাইনের সঞ্চালনায় মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম আল কাদেরী,অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কাশেম কাঞ্চনপুরী, আল্লামা কাজী মুহাম্মদ শাহেদুর রহমান হাশেমী, আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরী, শাহজাদা সৈয়দ নইমুদ্দিন হাশেমী, আল্লামা বশিরুল আলম মাইজভান্ডারী, আল্লামা ওমর ফারুক নঈমী, মাওলানা সাইফুর রহমান ফারুকী, আল্লামা সোহরাব হোসেন জালালী, শাহজাদা সৈয়দ মোফাক্কেরুল ইসলাম মির্জাপুরী, প্রফেসর সৈয়দ শফিউল গণী চৌধুরীসহ উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
এতে আওলাদে খোলাফায়ে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী, উলামায়ে আহলে সুন্নাত উপস্থিত থেকে শানে রেসালত ও গাউছিয়তের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, রাসুলে করিম (দ.) সমগ্র সৃষ্টির জন্য নিয়ামত রহমত আর সে রহমতের বাগানে যোগ্য উত্তরসুরী হচ্ছে মহান আউলিয়ায়ে কেরামগণ, নায়েবে রাসুলগণ। যুগে যুগে এই ধারায় ইসলামের তাবলীগ তথা প্রচার প্রসার হয়েছে আমরা সেই সকল প্রচারকগণের মাজার থেকেও ইসলামের সুঘ্রাণ লাভ করি। যারা মাজারের প্রতি বিদ্বেষ রাখে তারা মূলত রহমাতুল্লিল আলামীনের এই সিলসিলার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে। আমাদের হকের উপর অবিচল থাকতে হবে।
মাহফিলে জুলুছ্ সহকারে আশা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, দরবারে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর সম্মানিত মুন্তাজেম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ আহমেদ নাভিদ হাসান মাইজভাণ্ডারী ও মহাসচিব মাসুদ মাহমুদ। পরিশেষে মিলাদ ও বিশ্বশান্তির মঙ্গল কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।