মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ: থানচিতে বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে বেশির ভাগ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। জানা যায় যে, জুম চাষীরা বছরের এই সময়ে মধ্যে জুম চাষ ফলন ভালো ফলন না হওয়াতে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয় চাষীদের।তার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যাভাব দূর করতে উপজেলা প্রশাসন থানচি এর উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৩ই সেপ্টেম্বর নেটওয়ার্ক বিহীন মায়ানমার সীমান্ত এলাকার দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের চলতি বর্ষা মৌসুমে জুমের ধান পাকার আগের সময়ে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এই এলাকায় ৯৯ শতাংশ মানুষ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। একদিকে বর্ষা মৌসুমে নৌ পথে যোগাযোগ খারাপ অবস্থা থাকায় কিছু সময়ের জন্য প্রতি বছর সাময়িকভাবে খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ত্রাণ বিতরণ কালে ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাংচং ম্রো, ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, খবর পাওয়ার সাথে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করি এবং ওনার সার্বিক প্রচেষ্টায় চাল ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়।প্রয়োজন সাপেক্ষে আরো পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন সাংবাদিকদের বলেন, দুর্গম সীমান্ত গ্রামগুলো নেটওয়ার্কের সংযোগ না থাকার কারণে সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়না এরপরে ও বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরে জুম চাষীদের বিষয়ে খবর নিয়ে খাদ্য অভাব বিষয়ে,তাৎক্ষণিকভাবে চাল ডাল তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।জুমের ধান না পাওয়ার পর্যন্ত প্রয়োজন সাপেক্ষে এই খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।