নুরুল আবছার নূরী : ভয়াবহ বন্যায় ফটিকছড়ির দুর্গত এলাকার বানভাসী মানুষদের উদ্ধারের পর আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া, বন্যার পানিতে আটকে পড়া দুর্গত মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে এবং আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে ৩ সহস্রাধিক দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করেছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ গাউছিয়া হক মনজিল প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী,(কঃ) ট্রাস্ট ও মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন শাখা কমিটিসমূহের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘দুর্যোগ মোকাবেলা ও পুর্নবাসন সেল’।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেলের ৪ শতাধিক সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বানভাসী মানুষদের উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে শতশত মানুষরে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেন। ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি, নারায়ণহাট, পাইন্দং, সুয়াবিল এবং হাটহাজারী উপজেলার ধলই ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও শুক্রবার হতে দিনে এবং রাতে আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহর করা হয়। আজও ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়ার বন্যাদুর্গতদের মাঝে রান্নাকরা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও দুর্গত এলাকাসমূহের বানভাসী মানুষদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে বিশেষ চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে।
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট ও কেন্দ্রীয় পর্ষদ হতে গঠিত ‘দুর্যোগ মোকাবেলা ও পুনর্বাসন সেল’ হতে বানভাসী মানুষদের জন্য সহায়তা কার্যক্রম বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চলমান থাকবে।