চট্টবাণী: নগরের পতেঙ্গা, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ৪৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
একই ঘটনায় নগরের ডবলমুরিং ও হালিশহর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত শনিবার (২৪ আগস্ট) পুলিশ বাদী হয়ে থানায় এই মামলা করলেও বিষয়টি সোমবার (২৬ আগস্ট) জানাজানি হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নগরের পতেঙ্গা, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হাজার দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে থানার রেজিস্ট্রারপত্র, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরের পতেঙ্গা, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় অজ্ঞাত ৪৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ পতেঙ্গা থানায় ২০ থেকে ২৫ হাজার, পাহাড়তলী থানায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার ও আকবরশাহ থানা ৪ থেকে ৫ হাজার আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডবলমুরিং ও হালিশহর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ আগস্ট রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জনকে আসামি করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। একই তারিখে ইপিজেড থানার ২৫ থেকে ৩০ হাজার ও সদরঘাট থানা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।