আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে (আপনা-আপনি) খুলেছে বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরা সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকার মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এই দাবি করেন।
অভিষেক সিং বলেন, ডুম্বুর বাঁধে তিনটি গেট রয়েছে। পানির স্তর সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৯৪ মিটার হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেটগুলো খুলে যায় এবং অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যেতে থাকে আবার পানির স্তর ৯৪ মিটার হয়ে গেলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মানুষকে কোনো কাজ করতে হয় না। এবারও তাই হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই করেনি। বাঁধে মোট তিনটি গেট রয়েছে, বুধবার দুটি গেট সম্পূর্ণভাবে খুললে যায় এবং একটি গেট অর্ধেক খুলেছিল।
এখন দুটি গেট খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এটা এমন নয় যে প্রথমবার এই গেট খুলেছে। এর আগেও বহুবার পানির স্তর বৃদ্ধির ফলে গেট খুলেছিল। এটি অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। বিশ্বের সব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেট এভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে।
এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জায়গা থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরাজুড়ে অতিভারী বৃষ্টির প্রেক্ষিতে রাজ্যের একমাত্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গোমতী জেলার ডুম্বুর জলাশয়ের পানি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এই বিতর্কের মধ্যেই এমন দাবি করলেন ত্রিপুরা সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং।
প্রসঙ্গত, ডুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে, বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে।