চট্টবাণী ডেস্ক: অর্থ পাচারকারীদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকে নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তারা যেন টাকার বালিশে না ঘুমাতে পারে। দরকার হলে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করে পাচারকারীদের দৌড়ের ওপর রাখা হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নবনিযুক্ত গভর্নর।
তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। এক্ষেত্রে সুদ হারে নতুন করে হাত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। দ্বিতীয় পদক্ষেপ, ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সরকার পরিবর্তনের কারণে কিছু অরাজকতা হতে পারে। এখানে অনেকে জোর করে মালিকানা বদল করেছে। এ জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো আইনগতভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আইনগতভাবে যেটা সম্ভব সেটা করা হবে। অনেকের অনেক দাবি থাকতে পারে।
খারাপ ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র উদঘাটন করতে চান জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র কী, দেখা দরকার। শুধু দুর্বলই নয়, কতটুকু দুর্বল তা নির্ণয় করতে হবে। সেগুলোর দেখার পর মালিকানা বা বোর্ড পরিবর্তন করতে হতে পারে। সেখানে একীভূত করা লাগতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংককে সরকারের মূলধনও দিতে হতে পারে। কেস বাই কেস পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। তারপর ট্রাস্ট বা কমিশন করা লাগতে পারে।
তিনি বলেন, সাপোর্ট লাগলে বাংলাদেশ ব্যাংক দেবে। এক্ষেত্রে পাঁচ ছয় মাস লাগবে। তারপর রোডম্যাপ করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ লাগতে পারে। লুটপাট হয়েছে, বড় ধরনের। অনেক ব্যাংককে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।
গভর্নর আরও বলেন, অর্থ পাচারকারীদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না। তারা যেন টাকার বালিশে না ঘুমাতে পারে। দরকার হলে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করে পাচারকারীদের দৌড়ের ওপর রাখা হবে। ব্যাংক খাত থেকে টাকা বের করে নেওয়ায় অনেকগুলো ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তারা চিহ্নিত হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর। তিনি অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছেন।